Recents in Beach

সর্বপ্রকার রোগ থেকে মুক্তির দোয়া


আল্লাহ তা-আলা মানুষকে যেমন সুস্থ রাখে, তেমন রোগ-বালাইও দেয়। অনেক সময় পরীক্ষা নেয়ার জন্যও আল্লাহ আমাদের রোগ দিয়ে থাকেন। যেন, আমরা আল্লাহকে মনে করি। ভুলে না যাই। এছাড়াও বিপদ-আপদে আল্লাহকে কতটুকু মনে রাখছি এটাও আল্লাহ দেখেন। রোগ হলে হয়তো সর্বপ্রথম আমরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। কিন্তু! যিনি আমাদের রোগ দিয়েছেন, তার কাছে একবার হলেও কী আমরা রোগমুক্তির জন্য সাহায্য চাই? ডাক্তার তখনই আমাদের সাহায্য করতে পারবে যখন আমরা আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই। তিনিই অসুখ সারানোর উছিলায় ডাক্তার দিয়েছেন।

কুরআনে এমন কিচু আয়াত আছে যেগুলো বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির জন্য শিফা স্বরূপ। তাই এসব আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তা-আলার কাছে রোগ থেকে মুক্তি চাওয়া উচিৎ। রোগ থেকে মুক্তি লাভে পূর্ব শর্ত হচ্ছে আল্লাহর বিধানকে জানা এবং যথাযথ মানার পাশাপাশি পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস রাখা। রোগ-ব্যাধি থেকে শিফা বা মুক্তি লাভে  কয়েকটি আয়াত তুলে ধরা হলো:

১) বিসমিল্লাহ সহ সুরা ফাতিহা পাঠ করা:
আরবী:  بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ - الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ - الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ - مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ - إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ - صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ - اَمِيْن

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহির রাহমা-নির রাহিম। আলহামদু লিল্লা-হি রাব্বিল্ আলামীন। আররাহমা-নির রাহীম। মালিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন। ইহদিনাছ ছিরাতাল মুস্তাকীমা ছিরাতাল্লাজিনা আন্আম্তা আলাইহিম। গাইরিল্ মাগ্দূবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দা-ল্লীন। আমিন।

অর্থ: শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ্ তা-আলার, যিনি নিখিল বিশ্বের প্রতিপালক, পরম দাতা এবং দয়ালু। শেষ দিবসের সর্বময় কর্তা হে আল্লাহ! আমরা একমাত্র তোমারই (সর্বক্ষেত্রে) দাসত্ব বা বন্দেগী করি এবং তোমারই কাছে (সর্বব্যাপারে) সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল ও সঠিক পথে পরিচালিত কর। তোমার অনুগ্রহ পাপ্তদের পথে। তোমার অভিশপ্ত ও বিভ্রান্তদের পথে নয়। হে আল্লাহ! কবুল কর।

২) সুরা তাওবার ১৪ নং আয়াত:
আরবী: وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ

উচ্চারণ: ওয়া ইয়াশফি ছুদু-রা ক্বাওমিম মু’মিনি-ন।

অর্থ: এবং মু’মিনদের (মুসলমানদের) অন্তরসমূহ শান্ত করে দেন।

৩) সুরা ইউনুসের ৫৭ নং আয়াত:
আরবী: وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ

উচ্চারণ: ওয়া শিফাউ’ল লিমা-ফিচ্ছুদু-রি ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতুল লিল মু’মিনি-ন।

অর্থ: এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।

৪) সুরা নাহলের ৬৯ নং আয়াত:
আরবী: يَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ

উচ্চারণ: ইয়াখরুঝু মিমবুতু-নিহা-শারা-বুম মুখতালিফুন, আলওয়ানুহু-ফি-হি শিফা-উ লিন্না-সি।

অর্থ: তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার।

৫) সুরা শুআরার ৮০ নং আয়াত:
আরবী: وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ

উচ্চারণ: ওয়া ইজা মারিদতু ফা-হুয়া ইয়াশফি-নি।

অর্থ: যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।

৬) সুরা বনি ইসরাঈলের ৮২ নং আয়াত:
আরবী: وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ

উচ্চারণ: ওয়া নুনাজ্জিলু মিনাল ক্বুরআ’নি মা হুয়া শিফাউও ওয়া রাহমাতুল্ লিলমু’মিনি-ন।

অর্থ: আমি (আল্লাহ) কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।

উপরে উল্লিখিত আয়াত গুলো একবার তিরাওয়াত করে একটি পানিভর্তি পাত্রে দম করে বা ফু-দিয়ে পানিটি পান করলে আল্লাহ তা-আলা জটিল ও কঠিন রোগ থেকে তার বান্দাদের হিফাজত করবেন। আল্লাহ তা-আলা আমাদেরকে কুরআনের আলোকে আমল করার তাওফিক দান করুক, আমিন।

Post a Comment

0 Comments