Recents in Beach

গুনাহ মাফের দোয়া


পবিত্র কোরআনে ভালো এবং মন্দ কাজ দুটির-ই আলোচনা হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে ভালো ও মন্দ কাজের পুরষ্কার ও শাস্তির কথা। বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার। গুরুত্বের সাথে বলা হয়েছে তাওবা ও ইস্তেগফারের কথা।

মহান স্রষ্টা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাধ্যমে এই কোরআনে পূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কেউ অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা-আলা ওই বান্দাকে ক্ষমা করে দিবেন। সে ব্যক্তি আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দায় পরিণত হবেন। এটাও আল্লাহর ঘোষণা।

কেননা অপরাধী বান্দা যখন আল্লাহ তা-আলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে তখন তিনি অত্যন্ত খুশী হন। এজন্য আল্লাহ তা-আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। খাঁটি তওবায় রয়েছে মুক্তি।

তওবা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে ইমানদারগন, তোমরা আল্লাহর কাছে খাঁটি তওবা করো, আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে ঝরনাসমূহ প্রবাহমান।’ (সুরা: তাহরিম, আয়াত: ৮)।

‘নিশ্চই আল্লাহ তা-আলা তওবাকারীদের ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালো বাসেন।’ (সুরা: বাকারা, আয়াত: ২২২)

প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে তওবার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এমন দোয়া শিখিয়েছেন যা আমল করলে গুনাহ থেকে মাফ পাওয়া যায়।

গুনাহ মাফের দোয়া:
আরবী: أَسْتَغْفِرُ اللهَ العَظِيْمَ الَّذِىْ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণ: ‘আসতাগফিরুল্লা-হাল আ’যীমাল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হা’ইয়ুল ক্বাইয়ূম ওয়া আতুবু ইলাইহি।’

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদাতের আর কোন যোগ্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। আমি তাঁর কাছে তাওবা করছি।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, ‘যেই ব্যক্তি এই দোয়া পড়বে আল্লাহ তা-আলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলাতক আসামী হয়’। অর্থাৎ, সে যদি বড় রকমের গুনাহগার ও হয়, তবুও আল্লাহ তা-আলা তাকে ক্ষমা করবেন। (তিরমিযী ৪/৬৯, আবুদাঊদ ২/৮৫, মিশকাত হা/২৩৫৩)।

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদুলিল্লাহ, তেত্রিশবার আল্লাহু আকবার পড়ে এবং একশবার পূর্ণ করার জন্য একবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির। পড়ে তার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয় যদিও তা সাগরের ফেনাপুঞ্জের সমান হয়।’ (মুসলিম)

Post a Comment

0 Comments