Recents in Beach

স্ত্রী সহবাসের কতিপয় নিয়ম-নীতি


আল্লাহ তা-আলা বিবাহের মাধ্যমে নারী-পুরুষের যৌন সম্ভোগ তথা বংশ বৃদ্ধিকে কল্যাণের কাজে পরিণত করেছেন। বিবাহের ফলে স্বামী-স্ত্রীর যাবতীয় বৈধ কার্যক্রম হয়ে ওঠে কল্যাণ ও ছাওয়াবের কাজ। বংশবৃদ্ধির একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর সহবাস। এর কিছু নিয়ম-নীতি ও দোয়া রয়েছে।



স্ত্রী সহবাসের নিয়ম:
১) স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পাক পবিত্র থাকবে।
২) “বিসমিল্লাহ” বলে সহবাস শুরু করা মুস্তাহাব। ভুলে গেলে যদি বীর্যপাতের পূর্বে স্মরণ হয় তাহলে তখনই মনে মনে “বিসমিল্লাহ” পড়ে নিতে হবে।
৩) সহবাসের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করা। যা আল্লাহর রাসূলের সুন্নাত।
৪) সব ধরনের দুর্গন্ধ জাতীয় জিনিস পরিহার করা। উল্লেখ্য যে, ধূমপান কিংবা অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। আর এত কামভাব কমে যায়। আগ্রহের স্থান দখল করে নেয় বিতৃষ্ণা।
৫) কেবলামুখি হয়ে সহবাস না করা।
৬) একবারে উলঙ্গ না হওয়া।
৭) স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দান করার পূর্বে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
৮) বীর্যপাতের সময় মনে মনে নির্ধারিত দোয়া পড়া। কেন না, যদি সে সহবাসে সন্তান জন্ম নেয় তাহলে সন্তান শয়তানের প্রভাব মুক্ত থাকবে।
৯) স্ত্রীর হায়েজ-নেফাসের (ঋতুকালীন) সময় সহবাস না করা।
১০) চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে মিলিত না হওয়া।
১১) স্ত্রীর জরায়ুর দিকে চেয়ে সহবাস না করা।
১২) বিদেশে বা সফরে যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস না করা।
১৩) সহবাসের সময় স্ত্রীর সাথে বেশি কথা না বলা।
১৪) জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহবাস না করা।
১৫) ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস না করা।
১৬) উল্টাভাবে স্ত্রী সহবাস না করা।
১৭) স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস না করা।
১৮) স্ত্রীর স্তন মুখে না নেওয়া।
১৯) পায়ু পথে সেক্স করা যাবে না।
২০) স্ত্রীর গোপনাঙ্গে জ্বিব বা মুখ দেওয়া যাবে না।
২১) পুরুষাঙ্গ স্ত্রীর মুখে দেওয়া যাবে না।

আল্লাহ তা-আলা আমাদের সবাইকে ইসলামিক নিয়ম-নীতি মেনে স্ত্রী সহবাস করার তাওফিক দান করুক, আমিন।

Post a Comment

0 Comments