Recents in Beach

রমজান মাসের ৩০ দিনের ৩০টি ফজিলত সবার জানা উচিত


রমজান: রমজান মাস খুবই গুরুত্ব পূর্ণ একটি মাস এ মাসে আল্লাহ তা’আলা বেশি বেশি ইবাদাত করার কথা বলেছেন। এ মাসে বেশি বেশি কুরআন পড়ার বেপারে বলা হয়েছে। রমজানে রোযা রাখার প্রতিদান আল্লাহ তা’আলা নিজ হাতে দান করবেন। এই রমজানের ৩০ দিনের ৩০টি ফজিলত রয়েছে। আসুন তাহলে জেনে নেই সেই ফজিলত গুলো কি কি?

রমজান মাসের ৩০ দিনের ৩০টি ফজিলত:
১ম রমজান: প্রথম রমজানে রোজাদারকে নবজাতকের মত নিষ্পাপ করে দেওয়া হয়।

২য় রমজান: দ্বিতীয় রমজানে রোজাদারের মা-বাবাকে মাফ করে দেওয়া হয়।

৩য় রমজান: তৃতীয় রমজানে একজন ফেরেশতা আবারও রোজাদরের ক্ষমার ঘোষনা দেয়।

৪র্থ রমজান: চতুর্থ রমজানে আসমানী বড় বড় চার কিতাবের বর্ণ সমান সাওয়াব প্রদান করা হয়।

৫ম রমজান: পঞ্চম রমজানে মক্কা নগরীর মসজিদে হারামে নামাজ আদায়ের সমান সাওয়াব দেওয়া হয়।

৬ষ্ঠ রমজান: ষষ্ঠ রমজানে ফেরেশতাদের সাথে সপ্তম আকাশে অবস্থিত বাইতুল মামূর তাওয়াফের সাওয়াব প্রদান করা হয়।

৭ম রমজানে: সপ্তম রমজানে ফিরাউনের বিরুদ্ধে মুসা (আঃ) এর পক্ষে সহযোগিতা করার সমান সাওয়াব প্রদান করা হয়।

৮ম রমজান: অষ্টম রমজানে রোজাদারের উপর হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর মতো রহমত বর্ষিত হয়।

৯ম রমজান: নবম রমজানে নবী-রাসূলদের সাতে দাড়িয়ে ইবাদাতের সমান সাওয়াব দেওয়া হয়।

১০ম রমজান: দশম রমজানে রোজাদারকে উভয় জাহানের কল্যাণ দান করা হয়।

১১তম রমজান: এগার তম রমজানে রোজাদারের মৃত্যু নবজাতকের ন্যায় নিষ্পাপ নিশ্চিত হয়।

১২তম রমজান: দ্বাদশ রমজানে হাশরের ময়দানে রোজাদারের চেহারা পূর্ণিমা চাদের মতো উজ্জ্বল করা হবে।

১৩তম রমজান: ত্রয়োদশ রমজানে হাশরের ময়দানের সকল বিপদ থেকে নিরাপদ করা হবে।

১৪তম রমজান: চতুর্দশ রমজানে হাশরের ময়দানে হিসাব-নিকাশ সহজ করা হবে।

১৫তম রমজান: পঞ্চদশ রমজানে সমস্ত ফেরেস্তারা রোজাদারের জন্য দোয়া করে।

১৬তম রমজান: ষষ্ঠদশ রমজানে আল্লাহপাক রোজাদারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করেন।

১৭তম রমজান: সপ্তদশ রমজানে একদিনের জন্য নবীগনের সমান সাওয়াব দেওয়া হবে।

১৮তম রমজান: অষ্টাদশ রমজানে রোজাদার এবং তার মা-বাবার প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টির সংবাদ দেওয়া হয়।

১৯তম রমজান: ঊনবিংশ রমজানে পৃথিবীর সকল পাথর-কংকর টিলা-টংকর রোজাদারের জন্য দোয়া করতে থাকে।

২০তম রমজান: বিংশ রমজানে আল্লাহর পথে জীবন দানকারী শহীদদের সমান সাওয়াব প্রদান করা হয়।

২১তম রমজান: একবিংশ রমজানে রোজাদারের জন্য জান্নাতে একটি উজ্জল প্রাসাদ নির্মান করা হয়।

২২তম রমজান: বাইশ তম রমজানে হাশরের ময়দানের সকল চিন্তা থেকে মুক্ত করা হয়।

২৩তম রমজান: ২৩তম রমজানে জান্নাতে রোজাদারের জন্য একটি শহর নির্মান করা হয়।

২৪তম রমজান: চব্বিশ তম রমজানে রোজাদারের যে কোন ২৪টি দোয়া কবুল করা হয়।

২৫তম রমজান: পঁচিশ রমজানে কবরের শাস্তি চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২৬তম রমজান: ছাব্বিশ তম রমজানে ৪০ বছর ইবাদাতের সমান সাওয়াব প্রদান করা হয়।

২৭তম রমজান: সাতাইশ রমজানে চোখের পলকে পুলসিরাত পার করে দেওয়া হয়।

২৮তম রমজান: আটাশ তম রমজানে জান্নাতের নেয়ামত দ্বিগুন।

২৯তম রমজান: ঊনত্রিশ তম রমজানে ১০০০ কবুল হজ্জ্বের সমান সাওয়াব।

৩০তম রমজান: ত্রিশ তম রমজানে পুরো মাসের ফজিলত দ্বীগুন করে দেওয়া হয়।

আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে রমজান মাসের প্রতিটি রোজা রাখার তাওফিক দান করুক, আমিন। তাছাড়া, সঠিক ভাবে ইসলাম বুঝার এবং সে অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দনা করুক, আমিন।

Post a Comment

1 Comments

  1. ভাই ৩০ রোজার ৩০টি ফজিলতের কথা লিখেছেন তার কোন দলিল আপনার নিকট আছে কি? থাকলে বলেন pls.

    ReplyDelete